সেনাবাহিনী বা সরকার বাজারের দ্রব্যমূল্যের দাম নির্ধারণ করে কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি 

গত ০৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুলিশ কর্মবিরতি ঘোষণা করলে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ বাজার পর্যবেক্ষণের মতো কাজ করে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে শীর্ষক দাবিতে একটি তালিকা ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে এবং কোনো বিক্রেতা এই তালিকা না মানলে সেনাবাহিনী বা শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে।

দ্রব্যমূল্যের দাম

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নির্ধারিত মূল্যের এমন কোনো তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বরং, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ সরকারের নাম ও লোগো ব্যবহার করে ভিত্তিহীনভাবে উক্ত তালিকা প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানে দেশের মূল ধারার গণমাধ্যম আজকের পত্রিকার গত ১০ আগস্ট প্রকাশিত ‘সামাজিক মাধ্যমে ভইরাল দ্রব্যমূল্যের তালিকা সরকারের নয়: ভোক্তা অধিকার’ শিরোনামে একটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়াও, গত ১০ আগস্ট জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান প্রচারিত তালিকাটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নয় বলে জানান। 

এছাড়া বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি’র ফেসবুক পেজে গত ১০ আগস্ট ‘সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোন বাজার মূল্য সাবমিট করা হয়নি’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। উক্ত ভিডিওতে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এমন কোনো বাজার মূল্য তালিকা প্রকাশ করেনি এবং অনেকে সুযোগ নিয়ে সেনাবাহিনীর নামে বিভিন্ন বিভ্রান্তির চেষ্টা করছে।

Screenshot collage: Rumor Scanner

সুতরাং, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তালিকাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img