বাংলাদেশে সম্প্রতি সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে হওয়া আন্দোলন এবং পরবর্তী সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে গত ১৯ জুলাই থেকে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করে সরকার।
এই ঘটনার মধ্যে পদত্যাগ পত্র জমা দিলো সেনাবাহিনীর প্রায় ১৫ জনের বেশি সেনা অফিসার শীর্ষক একটি দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকা গণমাধ্যম
ফেস দ্যা পিপল এর বরাত দিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকের কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সেনাবাহিনীর ১৫ জনের বেশি সদস্য পদত্যাগ করেছেন দাবিতে ফেস দ্যা পিপল কোনো তথ্য প্রচার করেনি বরং গণমাধ্যমটির নাম জড়িয়ে ভুয়া এই দাবিটি ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ফেসবুক মনিটরিং টুল ব্যবহার করে এ সংক্রান্ত দাবির সম্ভাব্য প্রথম পোস্টের খোঁজ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার। ৩১ জুলাই রাত আটটায় মামুনুল হক এর সৈনিক নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দাবিটি প্রচার করা হয়।
Screenshot: Facebook
ফেস দ্যা পিপল এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করেছে কিনা সে বিষয়ে জানতে গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ (১, ২, ৩, ৪, ৫) এবং ইউটিউব চ্যানেলে অনুসন্ধান চালিয়ে এমন কোনো তথ্যের অস্তিত্ব মেলেনি৷
পরবর্তীতে ফেস দ্যা পিপলের প্রকাশক ও সম্পাদক সাইফুর সাগরের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার। তিনি জানিয়েছেন, তারা এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি।
এ বিষয়ে আইএসপিআর কিংবা অন্য কোনো গণমাধ্যম সূত্রেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মূলত, বাংলাদেশে সম্প্রতি সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে হওয়া আন্দোলন এবং পরবর্তী সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে দেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করে সরকার। এই ঘটনার মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রায় ১৫ জনের বেশি সেনা অফিসার পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন শীর্ষক একটি দাবি ফেস দ্যা পিপল এর বরাত দিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। ফেস দ্যা পিপল এমন কোনো তথ্য প্রচার করেনি। তাছাড়া, অন্যান্য গণমাধ্যম বা সংশ্লিষ্ট সূত্রেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর কথিত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজমত উল্লাহ পদত্যাগ করেছেন দাবিতে আরেকটি তথ্য সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হলে উক্ত বিষয়টি নিয়েও ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, সম্প্রতি সেনাবাহিনীর একাধিক সদস্য পদত্যাগ করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Statement from Saifur Shagor
- Rumor Scanner’s own analysis.
