ঢাবির উপাচার্য হিজাব বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দেননি 

সম্প্রতি, “ব্রেকিং নিউজ হিজাব বাধ্যতামূলক করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি! আলহামদুলিল্লাহ” দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বর্তমান উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব বাধ্যতামূলক করেছেন শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং, কোনোপ্রকার তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই উক্ত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও এমন কোনো তথ্য মেলেনি। 

বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং একটি জাতীয় দৈনিকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধির সাথেও কথা বলে রিউমর স্ক্যানার টিম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম পান্না বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হিজাব সংক্রান্ত কোনো বাধ্যতামূলক নির্দেশনা দেয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।”

দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আশিকুল হক রিফাত জানান, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিজাব বাধ্যতামূলক করার কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।”

গত ০৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিনস কমিটির একটি সভায় নিকাব ও হিজাব পরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তের জন্য প্রয়োজনে নারী সহকারী প্রক্টরের সহযোগিতা নেয়া হবে। এ ছাড়া পরিচয় শনাক্তের জন্য বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালুর সম্ভাব্যতার বিষয়টি যথাসময়ে যাচাই করা হবে বলেও জানানো হয়।

একই দাবিটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এমন কোনো মন্তব্য বা ঘোষণা দেননি বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছিলেন।

সুতরাং, ঢাবির বর্তমান উপাচার্য ক্যাম্পাসে হিজাব বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img