সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে জিনিসপত্রের দাম ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, “টানা ৩ মাস ধরে মাছ-মাংস খাইনি। মাঝে- মধ্যে যেদিন আয় একটু বেশি হয়, সেদিন ডিম খাই। তবে সপ্তাহে ২-১ দিনের বেশি না।- মো. রহমান” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম ডেইলি স্টারের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
দাবি করা হচ্ছে: উক্ত সংবাদ বা ফটোকার্ডটি সাম্প্রতিক সময়ে ডেইলি স্টার প্রকাশ করেছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “টানা ৩ মাস ধরে মাছ-মাংস খাইনি। মাঝে- মধ্যে যেদিন আয় একটু বেশি হয়, সেদিন ডিম খাই। তবে সপ্তাহে ২-১ দিনের বেশি না।- মো. রহমান” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে ডেইলি স্টার সম্প্রতি কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বরং, ২০২২ সালে ডেইলি স্টার কর্তৃক প্রকাশিত এই ফটোকার্ডকে সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, উক্ত ফটোকার্ডটিতে ডেইলি স্টারের লোগো রয়েছে এবং ফটোকার্ড প্রকাশের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২২ উল্লেখ রয়েছে।

লোগো এবং প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ডেইলি স্টারের ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ফটোকার্ডের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডের মিল রয়েছে।

অর্থাৎ, ডেইলি স্টার আলোচিত ফটোকার্ডটি ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশ করেছিল।
সুতরাং, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইস্যুতে ২০২২ সালে ডেইলি স্টার কর্তৃক প্রকাশিত ফটোকার্ডকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Daily Star- Facebook Post
- Rumor Scanner’s Own Analysis