সম্প্রতি ‘কেউ যাদ চাঁদাবাজি করতে আসে, সাধারণ মানুষের দোকানপাট ভাঙতে আসে সঙ্গে সঙ্গে উত্তম মাধ্যম….হোক প্রতিবাদ!!’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে৷ উক্ত ভিডিওতে একাধিক ব্যক্তিকে দোকান ভাঙচুর ও পথচারীদের আক্রমণ করতে দেখা যায় এবং পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদের আটক করার দৃশ্য রয়েছে৷

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷
উক্ত দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)৷
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওর ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং, এটি ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের ২০২২ সালের একটি ঘটনার ভিডিও।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম The India Express এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর ‘‘Koyta gang’ unleashes terror in Pune’s outskirts again; one held, minor apprehended’ শিরোনামে হালনাগাদকৃত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির দৃশ্যের মিল রয়েছে।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সে বছরের ২৮ ডিসেম্বর রাতে পুনে শহরের সিনহাগাড ল কলেজের কাছে কুখ্যাত ‘কোয়টা গ্যাং’ এর দুইজন সদস্য ধারালো অস্ত্র হাতে রাস্তার পাশের দোকানপাট ভাঙচুর ও পথচারীদের আক্রমণ করছিলো৷ প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলা এই ঘটনার এক পর্যায়ে ভারতী বিদ্যাপিঠ পুলিশ স্টেশন থেকে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে৷
এছাড়া, উক্ত ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যম Times Now এর ওয়েবসাইটে হালনাগাদকৃত একটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
অর্থাৎ, এই ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটেনি।
সুতরাং, ভারতে ভাঙচুর ও দৌরাত্ম্যের পুরোনো ভিডিওকে বাংলাদেশে চাঁদাবাজির সাম্প্রতিক ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।