বৃহস্পতিবার, অক্টোবর 3, 2024
spot_img

চট্রগ্রামে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে হিন্দু মেয়েকে অপহরণের ভুয়া তথ্য

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের গণআন্দোলনের মুখে গত ০৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর দেশের ট্রাফিক পুলিশসহ পুলিশের অধস্তন সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কায় কর্মবিরতীতে চলে গেলে সড়কে শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে, গত ০৮ আগস্ট চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণের উদ্দেশ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাবিতে ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশার’ একটি ছবিসহ তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ট্রাফিকের

ফেসবুক পোস্ট: এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে অটোরিকশায় হিন্দু নারীকে অপহরণের উদ্দেশ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া যাওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং, ফাতিমা জিন্নাত নামের উক্ত মুসলিম নারীকে তার বাবা ও স্বামী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি চিৎকার করলে ভুল–বোঝাবুঝি হওয়ার ফলে সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে।

অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যম ‘চ্যানেল২৪’ এর ওয়েবসাইটে গত ০৯ আগস্ট প্রকাশিত এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও ওই নারীকে অপহরণের কথা বলা হয়। জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরে খোঁজ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগে ওই নারীর সন্ধান পান এবং জানা যায়, ওই নারীকে তার বাবা ও স্বামী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় তিনি চিৎকার করলে ভুল–বোঝাবুঝি হয়।

এই বিষয়ে ‘প্রথম আলো’ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।

বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে গত ০৮ আগস্ট ‘অপহরণের’ খবর ছড়িয়ে পড়া নারীর সন্ধান মিলল চট্টগ্রাম মেডিকেলের মনোরোগ বিভাগে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই নারীর নাম ফাতিমা জিন্নাত।

সুতরাং, বাবা ও স্বামী এক নারীকে  হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি চিৎকার করলে ভুল–বোঝাবুঝি হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চট্টগ্রামের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে এক হিন্দু মেয়েকে বা এক নারী শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

RS Team
Rumor Scanner Fact-Check Team
- Advertisment -spot_img
spot_img
spot_img