পাখির চাঁদকে গিলে খাওয়ার এই ছবিটি সম্পাদিত

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “একজন ইংলিশ ফটোগ্রাফারের তোলা বিখ্যাত ছবি। এমন মুহুর্ত, এমন ছবি জীবনে একবার ই আসে” দাবিতে একটি ছবি প্রচারিত হচ্ছে।

পাখির চাঁদকে

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত  এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পাখির মুখে চাঁদের এই ছবিটি মৌলিক নয়, বরং নিক আপটন নামের একজন ফটোগ্রাফারের তোলা সারসের ছবিতে আরও দুইটি আলাদা ছবি যুক্ত করে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নেচার পিকচার লাইব্রেরি নামক একটি ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার নিক আপটনের তোলা এ সংক্রান্ত মূল ছবিটি পাওয়া যায়। এই ছবিটি দিনের আলোয় তোলা এবং তাতে চাঁদের কোনো অস্তিত্ব নেই। ছবিটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি দক্ষিণ-পুর্ব যুক্তরাজ্যের নেপ এস্টেট, সাসেক্স থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে তোলা হয়েছিল।   

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানেও একই ছবি পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের এই প্রতিবেদনেও ছবিটি নিক আপটনের তোলা বলে উল্লেখ করা হয়। 

Image Comparison : Rumor Scanner

নিক আপটনের এই ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ছবিতে একটি উড়ন্ত সাদা সারস এবং খড়কুটো দিয়ে বানানো বাসায় আরেকটি সারস পাখি বসে আছে। 

দাবিকৃত ছবিতেও উড়ন্ত সাদা সারস দেখা যায়, পাখিটির ডানা ঝাপটানো, চঞ্চুর অবস্থান সবকিছুই নিকের ছবির সারসের সাথে হুবহু মিল পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাকি সারসটির ছবি নিকের ছবিতে নেই। অর্থাৎ, সেটিও ভিন্ন একটি ছবি। 

এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, দাবিকৃত ছবিটি মৌলিক নয়৷ এতে তিনটি আলাদা ছবি জোড়া লাগানো হয়েছে। 

মূলত, সম্প্রতি ফেসবুকে “একজন ইংলিশ ফটোগ্রাফারের তোলা বিখ্যাত ছবি। এমন মুহুর্ত, এমন ছবি জীবনে একবার ই আসে” শীর্ষক দাবিতে চাঁদ ও পাখির একটি ছবি প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ছবিটি মৌলিক নয়। ফ্রিল্যান্স ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার নিক আপটনের তোলা একটি সারসের ছবিতে চাঁদ এবং বসে থাকা সারসের আলাদা দুইটি ছবি যুক্ত করে এই ছবিটি তৈরি করে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

সুতরাং, সারস পাখি চাঁদকে গিলে খাচ্ছে শীর্ষক একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা এডিটেড বা সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img