গত ৬ মে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভারত দাবি করে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক অভিযানে তারা জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তইয়েবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, পাকিস্তান কর্তৃক ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দৃশ্য দাবিতে একটি ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবির ছবিটি গণমাধ্যমে দেখুন: ফেস দ্যা পিপল (ফেসবুক), রূপালী বাংলাদেশ।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয় বরং ২০১৯ সালে ভারতের কাশ্মীরে দেশটির বিমানবাহিনীর বিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনার ছবিকে সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক ভিডিও প্রতিবেদনের থাম্বনেইলে একই ছবির সন্ধান মেলে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পাকিস্তান দুইটি ভারতীয় এয়ারক্রাফট ভূপাতিত করেছে। সেদিন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরের পশ্চিমে বুদগামে ভারতীয় বিমান বাহিনী বিধ্বস্ত জেটের ধ্বংসাবশেষ একটি খোলা মাঠে পাওয়া যায়।
দেশটির আরেক গণমাধ্যম লস এন্জেলেস টাইমস সূত্রেও একই তথ্য জানা যায়।
গেটি ইমেজে একই ঘটনার আরো ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটিতে এ সংক্রান্ত ছবিগুলোর বিষয়ে বলা হয়েছে, জেটটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট এবং একজন সহ-পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে মারা যান, অন্যদিকে দুর্ঘটনার সময় এলাকায় উপস্থিত কিফায়াত হোসেন নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দাও নিহত হন। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলার প্রতিক্রিয়ায় ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি ভূখণ্ডের ভিতরে কথিত জঙ্গি শিবিরে হামলা চালানোর দাবি এবং বুধবার পাকিস্তান দুটি অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার এবং দুই পাইলটকে আটক করার দাবি করার পর এই অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সুতরাং, ২০১৯ সালে ভারতের কাশ্মীরে দেশটির বিমানবাহিনীর বিমান ভূপাতিতের ছবিকে সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।