সম্প্রতি, ‘ঢাবি কওমি মাদরাসা! “মুসলমানদের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানায়,না,মাদরাসাতেই মানায়!” – এই শিরোনামে একটি ছবি ইন্টারটে প্রচার করা হয়েছে।
ছবিটিতে দেখা যায়, একটি সম্মেলন কক্ষ বা ক্লাসরুমে অসংখ্য নারী সারিবদ্ধভাবে বসে আছেন। নারীরা সম্পূর্ণ শরীর ঢাকা কালো পোশাকে অর্থাৎ অর্থাৎ বোরকা, হিজাব ও নিকাবে আবৃত

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়,অর্থাৎ বোরকা, হিজাব ও নিকাবে আবৃত নারীদের এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বা বাংলাদেশের নয়। বরং, সৌদি আরবের আল-বাহা অঞ্চলের স্কুল শিক্ষকদের সম্মেলনের ছবি। উক্ত সম্মেলনে পুরুষ শিক্ষকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুসন্ধানের শুরুতে ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘هياء الشعيل’ নামক এক্স অ্যাকাউন্টে গত ১৬ আগস্ট একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে আলোচিত ছবিটি রয়েছে।
পোস্টটিতে বলা হয়, ‘আল-বাহা অঞ্চলের স্কুলগুলোর নারী প্রধানগণ প্রিন্স ফয়সাল বিন মোহাম্মদ শিক্ষা হলের স্কুল অধ্যক্ষদের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। সেখানে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ শিক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ড. হাসান খোরমির ভাষণ শোনেন।’ (অনূদিত)
এই বিষয়ে সৌদি আরবের আল-বাহা অঞ্চলের শিক্ষা প্রশাসনের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট -এ গত ১৩ আগস্ট প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি রয়েছে।

পোস্টটির ক্যাপশন বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটি একটি সম্মেলন বা মতবিনিময় সভা। সম্মেলনটি আল-বাহা অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা বা গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।
প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে সৌদি আরবের অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘আন-নাহার নিউজ’ -এর ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে একটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সম্মেলনে নারী ও পুরুষ উভয়েই অংশগ্রহণ করেছেন।
অর্থাৎ, এই ছবিটি বাংলাদেশের কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়।
সুতরাং, সৌদি আরবের আল-বাহা অঞ্চলের স্কুল শিক্ষকদের ছবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- هياء الشعيل : X Post
- إدارة تعليم الباحة : X Post
- annahar-news.com : تعليم الباحة ينظم الملتقى الأول لمديري ومديرات المدارس للعام الدراسي الجديد