সম্প্রতি, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছবি ব্যবহার করে যমুনা টিভি ও জনকণ্ঠ পত্রিকার আদলে তৈরি ফটোকার্ডের মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবী তোলা প্রত্যেকটা দল একাত্তর বিরোধী শক্তি।”
যমুনা টিভির ফটোকার্ডের আদলে ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত দাবির কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।
জনকণ্ঠের ফটোকার্ডের আদলে ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত দাবির কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবীকৃত দলগুলো একাত্তর বিরোধী শক্তি শীর্ষক মন্তব্য করেননি মির্জা ফখরুল এবং যমুনা টিভি ও জনকণ্ঠ পত্রিকাও উক্ত দাবিতে কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ভুয়া এই ফটোকার্ডগুলো তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে যমুনার আদলে তৈরি আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ ০৯ মে, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।
পরবর্তী অনুসন্ধানে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তাছাড়া, যমুনা টিভির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যান্ডেলগুলো থেকে প্রচারিত ফটোকার্ডের ডিজাইন পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ফন্টের ডিজাইনের সাথে অমিল খুঁজে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, যমুনা টিভি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
পরবর্তীতে জনকণ্ঠের আদলে তৈরি আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ ১০ মে, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।
পরবর্তী অনুসন্ধানে পত্রিকাটির ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তাছাড়া, জনকণ্ঠের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যান্ডেলগুলো থেকে প্রচারিত ফটোকার্ডের ডিজাইন পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ফন্টের ডিজাইনের সাথে অমিল খুঁজে পাওয়া যায়।
পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবী তোলা প্রত্যেকটা দল একাত্তর বিরোধী শক্তি।’ শীর্ষক দাবিতে যমুনা টিভি ও জনকণ্ঠ পত্রিকার নামে প্রচারিত ফটোকার্ড দুইটি ভুয়া ও বানোয়াট।
তথ্যসূত্র
- Rumor Scanner’s own analysis
