ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দাবিতে ভুয়া তথ্য ইউটিউবে 

সম্প্রতি, ‘অবশেষে সেনাপ্রধানের কাছে ক্ষমতা দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিলো ড. ইউনুস’ শীর্ষক শিরোনামে থাম্বনেইল এবং ‘সেনাপ্রধানের কাছে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লেন ড. ইউনুস’ ক্যাপশনে উল্লেখপূর্বক একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচার করা হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের

উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিও দেখুন- এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ভিডিওটি ৭০ হাজার বারেরও বেশি দেখা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সেনাপ্রধানের কাছে ক্ষমতা দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের ঘোষণা দেননি। বরং, অধিক ভিউ পাওয়ার আশায় চটকদার থাম্বনেইল এবং ক্যাপশন ব্যবহার করে এবং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওতে সেনাপ্রধানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ড. ইউনুসে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার  দাবির পক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণ উল্লেখ পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে উপস্থাপক মনগড়া কিছু কথা বলেন।ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তাই স্বাভাবিকভাবে এমন কিছু হলে দেশের এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করবে। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে এমন কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। আর ড. ইউনূস এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও এমন কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।

বরং গুগলে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে সংবাদ মাধ্যম (,,) থেকে জানা যায়, গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর) রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। যা আলোচিত গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরের ঘটনা।

উল্লেখ্য,  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আজ ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

সুতরাং, সেনাপ্রধানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ড. ইউনুসে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img