সম্প্রতি, “ইয়ামান সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত বহু বিবাহ সংক্রান্ত নতুন আইন: ১। প্রত্যেক পুরুষকে কমপক্ষে দু’জন স্ত্রীকে বিবাহ করতে হবে, এবং বিবাহ ও আবাসনের ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে। ২। যে ব্যক্তি সিদ্ধান্তটি প্রত্যাখ্যান করে তাকে কমপক্ষে ১৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হবে। ৩। যে মহিলা তার স্বামীকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে বিবাহ বন্ধনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে, তাকেও কমপক্ষে ১৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হবে” শীর্ষক শিরোনামে আরবি হরফে ইয়েমেনের মন্ত্রীর স্বাক্ষরিত একটি সরকারী নথির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইয়েমেনে একাধিক বিয়ে বাধ্যতামূলক দাবিতে যে আইনের কথা প্রচার করা হচ্ছে তা সত্য নয় বরং ফটোশপের মাধ্যমে নথি এবং স্বাক্ষর নকল করে উক্ত তথ্যটি প্রচার করা হচ্ছে।
মূলত, নকল নথি ও জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে আরব বিশ্বের দেশগুলোতে বাধ্যতামূলক একাধিক বিয়ের আইন শিরোনামে একটি গুজব ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় ইয়েমেনে বাধ্যতামূলক ভাবে পুরুষদের একাধিক বিয়ে, অন্যথায় জেল জরিমানার বিধান করে একটি আইন পাশ হয়েছে দাবিতে ইয়েমেনের মন্ত্রীর স্বাক্ষরিত একটি নথির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইয়েমেনে বহুবিবাহ বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত এমন কোনো আইন পাস হয়নি। উল্লিখিত দাবিতে ইয়েমেনের মন্ত্রীর স্বাক্ষর সম্বলিত নথিটি সম্পূর্ণ বানোয়াট।
উল্লেখ্য, পূর্বেও বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় এটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।