সম্প্রতি, সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি দাবিতে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

এছাড়াও দেশীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম চ্যানেল২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৭ জুন ‘দুর্যোগ পরিস্থিতির আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনেও আলোচিত ভিডিওটিকে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্য দাবি করা হয়। ভিডিওটি দেখুন এখানে। ভিডিওটির আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে।

তাছাড়া, দেশীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম ‘আজকের পত্রিকা’ এর ফেসবুক পেজ হতে গত ১৭ জুন সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি দাবিতে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনেও আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যটি খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি দেখুন এখানে। ভিডিওটির আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে।

এছাড়াও দেশীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল আই’ এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ হতে আজ ১৮ জুন ‘বন্যায় চরম দুর্ভোগে সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনেও আলোচিত ভিডিওটিকে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্য দাবি করা হয়। ভিডিওটি দেখুন এখানে। ভিডিওটির আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বন্যার পানিতে ব্রিজের নিচে দিয়ে ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ার ভিডিওটি সুনামগঞ্জের নয় বরং এটি ২০২১ ইন্দোনেশিয়ার সোপেং রিজেন্সিতে আকস্মিক বন্যায় ব্রিজের ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ার সময় ধারণকৃত একটি ভিডিও।
মূলত, ইন্দোনেশিয়ার সোপেং রিজেন্সিতে আকস্মিক বন্যায় ব্রিজের নিচ দিয়ে বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার সময় ধারণকৃত পুরোনো ভিডিওকে সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বন্যার দৃশ্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উজানি ঢল ও প্রবল বর্ষণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী এবং বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক হতে বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। উক্ত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে সরকার।
গত মে মাসে সিলেটে বন্যা চলাকালে একই ভিডিওকে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির ভিডিও দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হয়েছিল। সে সময়ে উক্ত ভিডিওটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।