সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ডিভি-২০২৬ নামে ডাইভার্সিটি ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রোগ্রাম চালু করেছে। শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রকল্পটিতে ২ অক্টোবর থেকে ০৫ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে, উক্ত প্রকল্পটিতে বাংলাদেশিরাও আবেদন করতে পারবেন।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে পুনরায় ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বা আবেদন করার দাবিটি সঠিক নয় বরং গত প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরেই বাংলাদেশি নাগরিকদের এই লটারিতে আবেদনের অনুমতি নেই।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ডিভি-২০২৬ এর নির্দেশনা ও শর্ত পড়লে জানা যায়, ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ডিভি ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর কারণে বাংলাদেশীদের জন্য অভিবাসন কোটা পূরণ হয়ে গিয়েছে এবং বাংলাদেশ ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারিয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও আরো অনেক দেশও এই যোগ্যতা হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্যাখ্যাসমেত শর্তসাপেক্ষে বিশেষ দুই পরিস্থিতিতে যোগ্যতা হারানো দেশে জন্মগ্রহণ করেও আবেদন করতে পারেন। যেমন: শর্তসাপেক্ষে স্বামী/স্ত্রী হিসেবে এবং পিতামাতার জন্মস্থান ও নিজের জন্মস্থানের বিষয়ে শর্তপূরণ করলে।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটের এক বার্তা থেকেও জানা যায়, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি ডিভি ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে। দেশটিতে যেসব দেশের অভিবাসীদের হার কম সাধারণত সেসব দেশের নাগরিকদের এই কর্মসূচীর আওতাভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৭ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরে বাংলাদেশীদের জন্য অভিবাসন কোটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় ২০১২ সাল থেকেই বাংলাদেশ ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও এরকম দাবি ছড়িয়ে পড়লে তা মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।