মশার নিধনে সিঙ্গাপুরে কৃত্রিম মশা তৈরির পুরোনো পদ্ধতিকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি “সিঙ্গাপুরে মশার উপদ্রব কমানোর জন্য গবেষণাগারে লক্ষ লক্ষ কৃত্রিম মশা তৈরি করা হচ্ছে। এগুলির কাজ হলো স্ত্রী মশাদের খুঁজে বের করা এবং তাদের সাথে মিলিত হয়ে বাচ্চা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দেওয়া। এই পদ্ধতিটি ৯০% কার্যকর হয়েছে বলে প্রমাণিত” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ‘সিঙ্গাপুরে মশার উপদ্রব কমাতে লক্ষ লক্ষ কৃত্রিম মশা উৎপাদন করা হচ্ছে’ শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং ২০১৭ সালের অক্টোবরে সিঙ্গাপুরের ব্র্যাডেল হাইটস এলাকায় প্রাথমিকভাবে ৩০০০ পোকা অবমুক্ত করা হয়েছিলো, যা ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবং জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সহায়তা করেছিল।

মূলত, সিঙ্গাপুরে বেশকিছু এলাকায় ডেঙ্গুর উপদ্রব বৃদ্ধি পেলে ২০১৭ সালের শেষের দিকে বিজ্ঞানীরা মশা হ্রাসের জন্য একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। বিশেষভাবে প্রজনন করা মশাগুলো এমন এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া বহন করে যা স্ত্রী মশা গুলোর ডিম ফুটতে এবং প্রজনন বিস্তারে বাঁধা দেয়। ফলে, মশার পরিমাণ অনেকাংশে হ্রাস পায়। সে সময়ে সিঙ্গাপুরে মশার উপদ্রব কমাতে উক্ত পদ্ধতি ব্যবহারের তথ্যটিকে সাম্প্রতিক সময়ে ‘সিঙ্গাপুরে মশার উপদ্রব কমাতে লক্ষ লক্ষ কৃত্রিম মশা উৎপাদন করা হচ্ছে’ শীর্ষক দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও এ বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। 

আরও পড়ুন

spot_img