সম্প্রতি, “ইন্দোনেশিয়া কোরান হাফেজ কে মাটি দেওয়ার সময় কবর আলোকিত হয়ে যায়” শীর্ষক শিরোনামে অলৌকিক ঘটনা দাবিতে কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো ইন্দোনেশিয়ায় লাশ দাফনের সময় অলৌকিক কোনো ঘটনার নয় বরং ছবিগুলো প্রায় ৫ বছর পূর্বে মালয়েশিয়ান নাগরিক প্রয়াত মোহাম্মদ খাইরি যাইনুদ্দিনের কবরে মাটি দেওয়ার দৃশ্য।
মূলত, ছবিগুলো মালয়েশিয়ান সংগঠন ‘নেগেরি সেম্বিলান পিএএস উলামা কাউন্সিল’ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মোহাম্মদ খাইরি যাইনুদ্দিন এর কবরে মাটি দেওয়ার সময়ে ধারণ করা। সেসময়ে তার ছোট ভাই নাজরি যাইনুদ্দিন জানান, কবরস্থানে অস্বাভাবিক কিছু ঘটেনি। তিনি ও তার পরিবার আলোচিত বিষয়টি অলৌকিক মনে করেন না এবং যখন তারা জানতে পারে যে খাইরি যাইনুদ্দিন এর লাশ দাফনের সময়কার কবর আলোকিত হওয়ার ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন সমস্যা সৃষ্টির ভয়ে কোন বিবৃতি জারি করেননি বলেও জানিয়েছিলেন।
প্রায় ৫ বছর পূর্বে মালয়েশিয়ায় স্বাভাবিক লাশ দাফনের পুরোনো কিছু ছবিকে সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় কবরে মাটি দেয়ার সময় অলৌকিকভাবে কবর আলোকিত হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একই দাবিতে আলোচিত ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।