কিউআর কোড সম্বলিত এই ছবিটি জাপানের কবরস্থানের নয়, চীনের থিম পার্কের

সম্প্রতি, ‘জাপানের কবরস্থানে প্রতিটি কবরের গায়ে QR কোড থাকে। সেই কোড স্ক্যান করলে মৃত ব্যক্তির ছবি, নাম, ঠিকানাসহ পুরো জীবন বৃত্তান্ত দেখা যায়’ শীর্ষক শিরোনামে কিউআর কোড সম্বলিত স্তম্ভের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি জাপানে মৃত ব্যক্তিদের কবরে বসানো কিউআর কোডের ছবি নয় বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নানজিং গণহত্যা এবং চংকিং বোমা হামলায় নিহতদের জীবন সম্পর্কে তথ্য প্রদানে কিউআর কোড সম্বলিত স্তম্ভের ছবি এটি; যা ২০১৫ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চংকিং শহরের একটি থিম পার্ক থেকে তোলা হয়েছিল। এছাড়া তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ আলোচিত দাবিতে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বরং প্রতিষ্ঠানটি আলোচিত দাবিটিকে মিথ্যা জানিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

মূলত, ২০১৫ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চংকিং শহরে ফরেনার্স স্ট্রিট নামে একটি থিম পার্কে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চীনে জাপানি সেনাদের দ্বারা সংঘটিত নানজিং গণহত্যা এবং চংকিং বোমা হামলায় মৃত ব্যক্তিদের জীবন সম্পর্কে তথ্য জানাতে সমাধির মতো দেখতে একপ্রকার স্তম্ভের উপর কিউআর কোডগুলো বসানো হয়। পার্কে আসা দর্শনার্থীরা সেসব কিউআর কোড স্ক্যান করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সম্প্রতি উক্ত কিউআর কোড সম্বলিত ছবিকেই জাপানের কবরস্থানের ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আলোচিত দাবি সম্বলিত পোস্টগুলোতে উক্ত তথ্যের সোর্স হিসেবে বাংলাদেশি তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

অর্থাৎ, ফ্যাক্টওয়াচের বিস্তারিত প্রতিবেদন না পড়েই শুধুমাত্র শিরোনাম দেখে প্রতিষ্ঠানটির নাম সোর্স হিসেবে উক্ত দাবি সম্বলিত পোস্টগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও দাবিটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো রিউমর স্ক্যানার টিম।

আরও পড়ুন

spot_img