সম্প্রতি, ‘বাংলাদেশের ৫ বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্যের কালো তালিকায়’ শীর্ষক শিরোনামে কতিপয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয় এই কালো তালিকাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত দেখিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন দেখুন Zoom Bangla এবং TV3bangla।

সংবাদটি শেয়ার করে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি ফর দ্যা ক্রিয়েটিভ আর্টস (ইউসিএ) কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত নয় বরং কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই উক্ত তথ্যটি গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
মূলত, কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই গত বছর একটি ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সংস্থার বরাতে যুক্তরাজ্যের কমিউনিটিভিত্তিক আইপিটিভিসহ দেশীয় মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ‘একাত্তর টিভি’ ও ‘চ্যানেল২৪’ এবং ‘কুমিল্লার কাগজ’ এ যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি ফর দ্যা ক্রিয়েটিভ আর্টস কর্তৃক বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে দাবি করে সংবাদ প্রচার করে। সম্প্রতি পূর্বের সংবাদ কপি পেস্ট করে নতুন করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। এবিষয়ে গত বছর সেসময় যুক্তরাজ্যের ঐ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক ইমেইল বার্তার মাধ্যমে উক্ত সংবাদটি সত্য নয় বলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিশ্চিত করেছিলেন।
পূর্বেও একই দাবিটি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।