দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর অসুস্থতার দৃশ্য দাবিতে পুরোনো ছবি প্রচার

সম্প্রতি “আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদি হুজুর  খুব অসুস্থ । সবাই ওনার জন্য দোয়া করবেন।আল্লাহ হুজুরকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে দিন” শীর্ষক শিরোনামের তিনটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অসুস্থ অবস্থার আলোচিত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং ছবিটি ২০১২ সালের এবং বর্তমানে তার অসুস্থ থাকার দাবিটির কোনো ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতির মাধ্যমে, ‘Awamii tribunal’ নামের ফেসবুক পেজে ২০১২ সালের ১৬ জুনে “জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অবস্থা সংকটাপন্ন। শনিবার সকালে দ্বিতীয় দফায় হার্ট অ্যাটাকে তার অবস্থার অবনতি হয়” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি পোস্টে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot source:Facebook pag Awamii tribunal

পরবর্তীতে, ২০২০ সালে ছবিটি পুনরায় ছড়ানোর পর মাসুদ সাঈদী আবারো সেটিকে গুজব চিহ্নিত করে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান ছবিটি ২০১২ সালের এবং তার বাবা বর্তমানে সুস্থ আছেন।

Screenshot source:Facebook pag, Masood Sayedee 

পাশাপাশি, দেশীয় অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘banglanews24’ এর ওয়েবসাইটে ২০১২ সালের ১৬ জুনে “বাবার অবস্থা সংকটাপন্ন: সাঈদীর ছেলে” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় ।

মূলত, ২০১২ সালে হার্ট অ্যাটাকের কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতালে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ড আলোচনা শেষে জানান, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর হার্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে তাই তার দ্রুত অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা প্রয়োজন। জনাব সাঈদীর ২০১২ সালে অসুস্থতার সময় ধারণকৃত একটি ছবিই পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে তার অসুস্থ থাকার ছবি দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার হয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিতে উক্ত ছবিটি বিভিন্নসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। গত নভেম্বরে উক্ত ছবিসহ একই দাবি ফেসবুকে প্রচার করা হলে সে সময় বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

আরও পড়ুন

spot_img