সম্প্রতি ‘মেঘের কারণেই সৃষ্টি-বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সম্বলিত তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ) এবং এখানে(আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ষড়ভুজাকৃতির মেঘের কারণেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের সৃষ্টি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া তথ্যটি সঠিক নয় বরং ২০১৬ সালে আমেরিকার সায়েন্স টিভি চ্যানেল তাদের একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুইজন বিশেষজ্ঞের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এই দাবিতে সর্বপ্রথম প্রচার করা হয়।
মূলত, ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল আমেরিকার সায়েন্স নামের একটি চ্যানেলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে দাবি করা হয়, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার একটি স্যাটেলাইটে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ষড়ভুজাকৃতির এমন কিছু মেঘ দেখা গিয়েছে, যা আরেকটি স্যাটেলাইটে উত্তর সাগরের উপরও দেখা গিয়েছে। এই ধরনের মেঘ মাইক্রোবার্স্ট (microburst) নামক একটি প্রাকৃতিক ঘটনা, যা শক্তিশালী বাতাস তৈরি করে। অনুষ্ঠানটিতে আমন্ত্রিত দুইজন বিশেষজ্ঞ অতিথির এই মেঘ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে সায়েন্সে চ্যানেলটি এক পর্যায়ে দাবি করে, বিজ্ঞানীরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্যের সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারে অনুসন্ধানে জানা যায়, এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুইজন অতিথিই পরবর্তীতে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানান, তাদের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে সায়েন্স চ্যানেলটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্যের সমাধান খুঁজে পাওয়ার দাবিতে প্রচার করেছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও বিষয়টি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।