নাহিদ ইসলামকে উদ্ধৃত করে সন্ধ্যার পর ইন্টারনেট বন্ধ এবং মেয়াদহীন ইন্টারনেট সেবা চালুর গুজব 

সম্প্রতি, “শীঘ্রই সিমের মেয়াদহীন ডাটা করা হবে” এবং “শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সন্ধ্যার পর নেট বন্ধ থাকবে বলে জানায় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম” শীর্ষক মন্তব্য দুইটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

সন্ধ্যার পর ইন্টারনেট বন্ধ

সন্ধ্যার পর ইন্টারনেট বন্ধ থাকার দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

মেয়াদহীন ডাটা চালুর দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সন্ধ্যার পর ইন্টারনেট বন্ধ এবং মেয়াদহীন ইন্টারনেট সেবা চালু সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম করেননি বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচিত দাবিগুলোর বিষয়ে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে গত ১১ আগস্ট প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে “ইন্টারনেট বন্ধে কারা জড়িত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চান উপদেষ্টা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যান উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়, তা বের করতে হবে। মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কোন কোন কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়ে ইন্টারনেট বন্ধে সহযোগিতা করেছেন, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে। তদন্ত করতে ২৪ ঘণ্টা সময় দেন তিনি।

এছাড়া তিনি দেশে ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম অনেক বেশি। তিনি ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমাতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। 

এছাড়া, নাহিদ ইসলাম যে দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন সেই দুই মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (, ) পর্যবেক্ষণ করেও এসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

পাশাপাশি, নাহিদ ইসলামের মূল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করেও এসংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে উদ্ধৃত করে সন্ধ্যার পর ইন্টারনেট বন্ধ রাখা এবং মেয়াদহীন ইন্টারনেট সেবা চালুর  দাবিগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img