ইজরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে বেভারেজ পণ্য কোকাকোলা বয়কটের ক্যাম্পেইন চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র। সম্প্রতি কোকাকোলার এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞাপন নিয়েও চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
এরই মধ্যে বন্ধ হচ্ছে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’- শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কোকাকোলার সহপ্রতিষ্ঠান কোক স্টুডিও বাংলা বন্ধ হওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি যমুনা টিভিও এসংক্রান্ত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় যমুনা টিভির ফটোকার্ডের আদলে একটি ফটোকার্ড তৈরি করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ ২৪ জুন ২০২৪ উল্লেখ রয়েছে।
Screenshot: Facebook Claim Post
যমুনা টিভির লোগো ও প্রকাশের তারিখের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে (১ ,২) এসংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, যমুনা টিভির ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলেও (১, ২) এসংক্রান্ত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
ফটোকার্ডটি বিশ্লেষণ করে এর ডিজাইনের সাথে যমুনার টেলিভিশনের ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলোর গ্রাফিক্যাল ডিজাইন ও শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের মিল খুঁজে পায়নি রিউমর স্ক্যানার টিম।
Photocard Comparison By Rumor Scanner
পাশাপাশি, অন্য কোনো গণমাধ্যম বা বিশ্বস্ত সূত্রেও এসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মূলত, সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ডে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’- শীর্ষক একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কোক স্টুডিও বাংলা বন্ধ হওয়ার তথ্যটি মিথ্যা। এছাড়া, যমুনা টিভি এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। পাশাপাশি অন্যকোনো গণমাধ্যম বা বিশ্বস্ত সূত্রেও আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, বন্ধ হচ্ছে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’- শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।