শিক্ষার্থী কর্তৃক গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো এই নারী পেশায় শিক্ষক নন

গত জুলাইয়ের শুরুতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সরকার পতনের আন্দোলনে রুপ নেয়। গণআন্দোলনের মুখে গত ০৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ০৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরমধ্যে দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অসংখ্য শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ উঠে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। পদত্যাগের বাধ্য করতে কোথাও কোথাও শিক্ষকদের হেনস্তা ও লাঞ্ছনা করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষিতে “হিন্দু শিক্ষিকাকে জুতার মালা পড়িয়ে আনন্দোচ্ছ্বাস করছে ছাত্রছাত্রীরা। পিছনে দাঁড়ি টুপি ওয়ালা ফেরেস্তা।” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

একই দাবিতে প্রচারিত একটি পোস্ট লেখক তসলিমা নাসরিনকেও শেয়ার (আর্কাইভ) করতে দেখা যায়। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষার্থী কতৃক গলায় জুতার মালা পড়িয়ে ঘোরানো এই  নারী পেশায় শিক্ষক নন বরং, গত ১৭ আগস্ট গাজীপুরের মাওয়া চৌরাস্তার উড়াল সেতু থেকে চাঁদাবাজি ও দেহ ব্যবসার অভিযোগ এনে এই নারীকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

অনুসন্ধানে গত ১৭ আগস্ট Manik Mondol নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত পোস্টে থাকা ভিডিওর নারীর সাথে আলোচিত ভিডিওতে থাকা নারীর চেহারা এবং পোশাকের মিল রয়েছে। 

Video Comparison By Rumor Scanner 

উক্ত পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, দেহ ব্যবসা, পাচার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গাজীপুর শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা থেকে আলোচিত এই নারীকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে একই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেসবুকে প্রচারিত আরও কিছু পোস্ট (, )  খুঁজে পাওয়া যায়। এসব পোস্ট থেকেও আলোচিত ভিডিও সম্পর্কে একই তথ্য জানা যায়।

সুতরাং, ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে শিক্ষার্থীরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষিকাকে আটক করে জুতার মালা পরিয়েছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা- শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img