বুধবার, অক্টোবর 9, 2024

খালেদা জিয়া নোবেল পাওয়ার যোগ্য শীর্ষক মন্তব্যটি যুগান্তরের নয়, বিএনপি নেতার

সম্প্রতি, জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনামের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ফেসবুকের একাধিক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, যুগান্তর “বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পাওয়ার যোগ্য বেগম খালেদা জিয়াশীর্ষক তথ্য জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

খালেদা জিয়া

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুগান্তরের সূত্রে প্রচারিত তথ্যটি যুগান্তরের নিজস্ব কোনো তথ্যের ভিত্তিতে করা সংবাদ নয় বরং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বক্তব্যকে কোট করে প্রকাশিত সংবাদকে যুগান্তরের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে করা সংবাদ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক যুগান্তরের ওয়েবসাইটে গত ৩১ আগস্ট ‘বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পাওয়ার যোগ্য খালেদা জিয়া’ (আর্কাইভ) শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত আলোচিত প্রতিবেদনটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Daily Jugantor

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘খালেদা জিয়া বিএনপির দ্বিতীয় পিলার। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে যদি কেউ নোবেল পায় সেটা খালেদা জিয়া পাওয়ার যোগ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘কথাটি এ কারণে বলছি যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। তার (খালেদা জিয়া) স্বামী যখন যুদ্ধে গেলেন তাকে গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্টে রাখা হলো। তখন তো অনেকেই ঘরে বসেছিল। কেউ কেউ পাকিস্তানি মেজরের গাড়িতে করে হাসপাতালে গেছে, ভাতা নিছে। কিন্তু তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তার স্বামীকে হত্যা করার পরে তিনি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তার প্রতি একটু শ্রদ্ধাবোধ থাকলে তাকে এভাবে মিথ্যা মামলায় জেলে আটক করে রাখত না।’ 

‘বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে যদি কেউ নোবেল পায় সেটা খালেদা জিয়া পাওয়ার যোগ্য।’ শীর্ষক শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্যকে কোট করে কোটেশন দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে যুগান্তর। 

অর্থাৎ, আলোচিত প্রতিবেদনের শিরোনাম একজন ব্যক্তির বক্তব্যের অংশ কোট করে বানানো হয়েছে। এখানে, যুগান্তরের নিজস্ব কোনো সূত্র বা তথ্য নেই। 

একই ঘটনায় যুগান্তরের মতোই একই শিরোনামে দেশের আরো দুই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে। 

মূলত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পাওয়ার যোগ্য বেগম খালেদা জিয়া- শীর্ষক একটি তথ্য জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সূত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, যুগান্তরের ওয়েবসাইটে গত ৩১ আগস্ট বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর একটি বক্তব্যকে শিরোনামে কোটেশনের মাধ্যমে উদ্বৃত্ত করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়, যা পরবর্তীতে যুগান্তরের নিজস্ব সূত্র বা তথ্যে সংবাদ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। এর ফলে নেটিজেনদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। 

সুতরাং, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্যকে কোট করে প্রকাশিত সংবাদকে যুগান্তরের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে করা সংবাদ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img