সম্প্রতি, বিশ্বকাপ আসরে ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একমাত্র লিটন দাসেরই দুটো হাফ সেঞ্চুরি আছে দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট ( আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিশ্বকাপ আসরে ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একমাত্র লিটন দাসেরই দুটো হাফ সেঞ্চুরি থাকার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, লিটন দাস ব্যতীত ইমরুল কায়েসেরও বিশ্বকাপের এক আসরে দুটো হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে এই রেকর্ড গড়েন ইমরুল কায়েস।
আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া বিষয়ক গণমাধ্যম ESPN এর ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট espncricinfo -এ ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে বাংলাদেশি ওপেনারদের প্রতিটি ম্যাচের পারফরম্যান্স ম্যানুয়ালি অনুসন্ধান করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের ২০১১ সালের আসরে ইংল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং ব্যাটার ইমরুল কায়েস যথাক্রমে ৬০ এবং ৭৩ রান করেন। অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, ইমরুল কায়েস ব্যতীত ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত আর কোনো বাংলাদেশি ওপেনিং ব্যাটার একই আসরে দুটো হাফ সেঞ্চুরি করেননি।

অর্থাৎ, বিশ্বকাপের কোনো আসরে বাংলাদেশি ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে লিটন দাস একাই দুটো হাফ সেঞ্চুরির অধিকারী নন।
মূলত, গত ১০ অক্টোবর ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে এবারের বিশ্বকাপের আসরে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। এরপর গত ১৯ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মত হাফ সেঞ্চুরি হাকান বাংলাদেশী এই ওপেনার। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিটন দাস-ই একমাত্র বাংলাদেশি ওপেনিং ব্যাটার যিনি বিশ্বকাপের একই আসরে দুটো হাফ সেঞ্চুরি করেছেন দাবিতে একটি তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়। বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে লিটন দাসের আগে ইমরুল কায়েস বিশ্বকাপের এক আসরে দুই হাফ সেঞ্চুরি করেন। ২০১১ সালে আয়োজিত আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের আসরে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপরীতে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।
সুতরাং, বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশি ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে একমাত্র লিটন দাসেরই দুটো হাফ সেঞ্চুরি আছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Espncricinfo website: BAN vs ENG, ICC Cricket World Cup 2010/11, 28th Match, Group B at Chattogram, March 11, 2011 – Full Scorecard (espncricinfo.com)
- Espncricinfo website: BAN vs NED, ICC Cricket World Cup 2010/11, 32nd Match, Group B at Chattogram, March 14, 2011 – Full Scorecard (espncricinfo.com)