গত ২৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ০১ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আদনান শরিফ নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের কথিত শিক্ষার্থী আদনান শরিফ মারা যাওয়ার দাবিটি মিথ্যা বরং, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে আদনান শরিফ নামের কোনো শিক্ষার্থীই নেই। এছাড়া বিষয়টি গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক গণমাধ্যমকর্মী।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যমে আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক গণমাধ্যমকর্মীর সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
দৈনিক জনকণ্ঠের জাবি সংবাদদাতা ওয়াজহাতুল ইসলাম বলেন, অর্থনীতি বিভাগে বর্তমানে চতুর্থ বর্ষে রয়েছে ৪৯ তম ব্যাচ অর্থাৎ ২০১৯-২০ সেশন। এই ব্যাচে আদনান শরীফ নামে কেউ নেই।
দেশ রূপান্তর এর জাবি প্রতিনিধি আত্তাবুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এটি গুজব। আদনান শরীফ নামে জাবির অর্থনীতি বিভাগে কেউ নাই।
দাবিটির সূত্রপাতের বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, “Nowreen Anzum” নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ০১ আগস্ট প্রথম পোস্ট করা হয়। পরবর্তীতে পোস্টটি ৩০ মিনিটের মধ্যেই মুছে ফেলা হয়।
মূলত, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আদনান শরিফ নামের এক শিক্ষার্থীর মারা যাওয়ার দাবি ইন্টারনেটে প্রচার হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থে বর্ষে আদনান শরিফ নামের কোনো শিক্ষার্থীই নেই। বিষয়টি গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক গণমাধ্যমকর্মী।
সুতরাং, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের কথিত শিক্ষার্থী আদনান শরিফ নিহত হয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- JU Campus Journalists- Statement
- Rumor Scanner’s Own Analysis