সম্প্রতি “প্রচন্ড রোদের তাপে বেঁকে যাওয়া একটি রেললাইন” শীর্ষক দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বাঁকা রেললাইনের ছবিটি প্রচন্ড রোদের কারণে নয় বরং এটি ভূমিকম্পের তীব্রতায় বেঁকে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের একটি রেললাইনের ছবি।
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে আলোচিত ছবিটি ‘Earth Magazine’ নামের একটি ম্যাগাজিনে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি “Killer quake strikes New Zealand” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ৫ কিলোমিটার একটি রেললাইন বেঁকে যায়। যা ছিল একটি ভূমিকম্পের পরে তৈরি হওয়া আফটারশক।
পরবর্তীতে ‘ModernGhana’ নামের একটি ওয়েবসাইটে ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর “Earthquake twists railway tracks” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, নিউজিল্যান্ডে ভূমিকম্পে একটি রেললাইন নুডলসের মতো বেঁকে গিয়েছে।
ছবিটি নিয়ে চিত্রগ্রাহকেরা জানান,
ক্রাইস্টচার্চের কাছে বেঁকে যাওয়া রেললাইনের এই ছবিটি ডিজিটালভাবে ম্যানিপুলেট করা হয়নি।
প্রতিবেদনটিতে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়ন ব্লগার, ডেভ পেটলিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডে সংগঠিত ৭.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে রেললাইন এমন হয়েছিল।
মূলত, নিউজিল্যান্ডে ২০১০ সালে ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সংগঠিত হয়। এই ভূমিকম্পে প্রায় ৫ কিলোমিটার রেললাইন বেঁকে যায়৷ সেই রেললাইন বেঁকে যাওয়ার একটি ছবিকেই বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচন্ড রোদের তাপে বেঁকে যাওয়া ছবির দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া রেললাইনের ছবিটি প্রচন্ড রোদের কারণে বেঁকে যাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Earth Magazine website: Killer quake strikes New Zealand
- Modern Ghana website: Earthquake twists railway tracks