সম্প্রতি, “টঙ্গীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা। ধর্ষককে ধর্ষণের জায়গায় এনে ক্রসফায়ার করে র্যাব। র্যাবকে অভিনন্দন।” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি ও পেজ হতে প্রচার করা হচ্ছে।
ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, টঙ্গীতে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আসামি নিহতের খবরটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং এটি প্রায় দুই বছর পূর্বের ঘটনা।
কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, দেশীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম ‘কালেরকণ্ঠ’ এর অনলাইন সংস্করণে ২০২০ সালের ২২ মে “টঙ্গীতে বন্দুকযুদ্ধে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি নিহত” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে, একই সময়ে একই ঘটনা নিয়ে দেশীয় সংবাদমাধ্যম যমুনা টিভি, সময় টিভি, আরটিভি ও সমকাল এর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

মূলত, ২০২০ সালের ১৬ মে টঙ্গীতে চাঁদনী নামের ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রথম আসামি আবু সুফিয়ানকে গ্রেফতার করতে একই বছরের ২১ মে রাতে টঙ্গীর মধুমতি রেললাইন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় র্যাব। উক্ত অভিযানে র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় অভিযুক্ত আবু সুফিয়ান।
Also Read: ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত বাংলাদেশি ব্যক্তি দাবিতে গণমাধ্যমে ভুল ছবি প্রচার
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে দুই বছর পূর্বের ঐ ঘটনাটিকে কোনো প্রেক্ষাপট ও তারিখ উল্লেখ ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি ও পেজ হতে পুনরায় প্রচার করার ফলে ঘটনাটিকে সাম্প্রতিক ভেবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৬ মে টঙ্গী মধুমিতা রেলগেট এলাকার একটি ময়লার স্তূপ থেকে চাঁদনী নামের ৭ বছর বয়সী প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই শিশুকে ধর্ষণের পর গলা টিপে এবং দুই পায়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বলে সেসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করা তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্তের মাধ্যমে জানা যায়।

উল্লেখ্য, উক্ত ঘটনায় ১৭ মে রাতে টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকা থেকে নিলয় নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে র্যাব। পরবর্তীতে নিলয় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছিলো সে ও আবু সুফিয়ানসহ ওই শিশুকে ধর্ষণ করেছিলো।
সুতরাং, ২০২০ সালে টঙ্গীতে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আসামি আবু সুফিয়ানের মৃত্যুর ঘটনাকে প্রেক্ষাপট এবং পূর্বের তারিখ উল্লেখ ব্যতীত অপ্রাসঙ্গিকভাবে সম্প্রতি নতুন করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]
- Claim Review: টঙ্গীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা। ধর্ষককে ধর্ষণের জায়গায় এনে ক্রসফায়ার করে র্যাব। র্যাবকে অভিনন্দন
- Claimed By: Facebook Posts
- Fact Check: Misleading
[/su_box]