সম্প্রতি, ‘আপনার সন্তান মালাউন হচ্ছে না তো?’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রথম আলো তাদের ওয়েবসাইটে ‘আপনার সন্তান মালাউন হচ্ছে না তো?’ শীর্ষক শিরোনামে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বরং, প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ২০১৬ সালে ‘আপনার সন্তান জঙ্গি হচ্ছে না তো?’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম সম্পাদনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত স্ক্রিনশটটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ‘আপনার সন্তান মালাউন হচ্ছে না তো?’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত প্রতিবেদনটিতে প্রথম আলোর লোগোর পাশাপাশি এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ২০ জুলাই ২০১৬ উল্লেখ করা হয়েছে। এর সূত্র ধরে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করেও ২০১৬ সালে ২০ জুলাই প্রকাশিত এমন কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে স্ক্রিনশটটিতে থাকা তারিখ এবং প্রতিবেদনটির লেখক আহমেদ হেলাল-এর পরিচয়ের সূত্রে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ২০১৬ সালের ২০ জুলাই আপনার সন্তান জঙ্গি হচ্ছে না তো? শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এটিতে ব্যবহৃত ছবি, প্রকাশের তারিখ এবং লেখকের নাম ও পরিচয়ের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত স্ক্রিনশটটির হুবহু মিল রয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে ব্যবহৃত ছবিটির ক্যাপশনেরও হুবহু মিল রয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট যে উক্ত প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে এটির শিরোনাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে লেখক একটি ছদ্মনাম ব্যবহার করে একজন তরুণের জঙ্গি হওয়ার গল্প তুলে ধরেন। পাশাপাশি সন্তানের জীবনাচরণের কী কী পরিবর্তনের দিকে বাবা-মায়ের সচেতন হওয়া উচিত সে বিষয়েও দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর সাথে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।
সুতরাং, ‘আপনার সন্তান মালাউন হচ্ছে না তো?’ শীর্ষক শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোর সংবাদ দাবিতে প্রচারিত স্ক্রিনশটটি এডিটেড বা সম্পাদিত।
তথ্যসূত্র
- Prothom Alo Website: আপনার সন্তান জঙ্গি হচ্ছে না তো?
- Rumor Scanner’s Own Analysis