গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সেদিনই পাশ্বর্বর্তী রাষ্ট্র ভারতে আশ্রয় নেন দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। কিন্তু শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে গত ৪ অক্টোবর বিশেষ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেদিন শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে এসেছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি সেলফি ভিডিও ধারণ করছেন যেখানে শেখ হাসিনাকে লোকসমাগম থেকে বের হতে দেখা যাচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
টিকটকে প্রচারিত একই ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেখ হাসিনার প্রকাশ্যে আসার ভিডিও দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগের সময় আলোচিত ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক Durud Miah-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মূল ভিডিওটি প্রচার হতে দেখা যায়।

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এটি আলোচিত ভিডিওটির একটি বর্ধিত সংস্করণ। ভিডিওটি দুরুদ মিয়া রনেল নিজেই ধারণ করেন। ভিডিওটির শেষাংশে দুরুদ মিয়া জানান, শেখ হাসিনা সেদিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছিলেন। যেহেতু উক্ত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, সেহেতু এর সাথে আলোচিত দাবিটিরও কোনো সম্পর্ক নেই।
এছাড়াও অনুসন্ধানে জানা যায়, শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে যান। দীর্ঘ ১৩ দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে তিনি লন্ডন হয়ে বাংলাদেশে ফেরেন বলেও জানা যায়।
সুতরাং, শেখ হাসিনার প্রকাশ্যে আসার দাবিতে ২০২৩ সালের পুরোনো ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Prothom Alo NY Website: উত্তর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন রনেল
- Durud Miah Facebook Post
- Samakal Website: লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী