নাসা এবং আবহাওয়া বিভাগকে উদ্ধৃত করে ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত নওতাপ চলার গুজব

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বরাতে একটি তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। 

একই তথ্য আবার কিছু কিছু পোস্টে আবহাওয়া বিভাগের বরাতে করতে দেখা যায়। 

দাবি করা হচ্ছে, আজ ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত চলবে নওতাপ৷ এই নওতাপের নয় দিন গরম সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করবে। কারণ, এইসময় সূর্য রোহিণী নক্ষত্রে প্রবেশ করবে।… এই বছর নওতাপ চলবে আজ ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত।

নওতাপ

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

একই তথ্য ময়মনসিংহ-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক সায়েম নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেছেন। (আর্কাইভ

এছাড়া একই দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত দেখুন- নিউজ১৮ এবং পূর্বাচল প্রতিদিন (ফেসবুক)।

পাশাপাশি, আবহাওয়া বিভাগের বরাতে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত নওতাপ চলবে জানিয়ে  নাসা এবং আবহাওয়া বিভাগ কোনো তথ্য বা বিজ্ঞপ্তি দেয়নি বরং গত এপ্রিল মাসে ভারতের একটি গণমাধ্যমে জ্যোতিষীদের বরাতে উক্ত তথ্য প্রচারের পর তা বিকৃত হয়ে নাসা এবং আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে দাবিতে প্রচারিত হয়।

মূলত, সম্প্রতি নাসা এবং আবহাওয়া বিভাগের বরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত চলবে নওতাপ৷ এই নওতাপের নয় দিন গরম সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করবে। কারণ, এইসময় সূর্য রোহিণী নক্ষত্রে প্রবেশ করবে।… এই বছর নওতাপ চলবে ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত। কিন্তু রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, নাসা কিংবা আবহাওয়া বিভাগ কেউই এমন কোনো তথ্যই দেয়নি। প্রকৃতপক্ষে, গত এপ্রিল মাসে ভারতের গণমাধ্যম ‘এই সময়’ এর এক প্রতিবেদনে জ্যোতিষীদের বরাতে উক্ত তথ্য প্রচারের পর তা বিকৃত হয়ে নাসা এবং আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। 

উল্লেখ্য, গেল এপ্রিল মাসে নাসার বরাতে তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার। 

আরও পড়ুন

spot_img