সম্প্রতি, “ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নামটা একটা আবেগের নাম! তাকে নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে রিপোর্টারই কেঁদে ফেলল” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি প্রচারের মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে সংবাদ উপস্থাপিকা বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগাল তথা রোনালদোর বিদায় নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত ভিডিওটিতে উপস্থাপিকা রোনালদোকে নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে কাঁদেনি বরং সিরিয়া নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে কেঁদেছিলেন এবং এটি তিন বছর পুরনো একটি ভিডিও, যা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে সেখানে রোনালদোর ভিডিও এডিট করে বসিয়ে ভুয়া দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
রিভার্স ইমেজ সার্চ করার মাধ্যমে সিরিয়া ভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যের আরবি ভাষার গণমাধ্যম Orient News এর ইউটিউব চ্যানেল Orient TV তে ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই “ الصورة التي أبكت مذيعة الأورينت أجهشت بالبكاء وتم قطع البرنامج على الهواء” (অনুবাদঃ The picture that made the Orient anchor cry sobbed, and the program was cut off from the air) শিরোনামে প্রকাশিত মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটিতে আরবি ভাষায় সিরিয়া নিয়ে করা একটি রিপোর্ট করতে গিয়ে উপস্থাপিকাকে আবেগতাড়িত হয়ে কান্না করতে দেখা যায়।
গত তিন বছর আগের ‘Orient TV’ এর উপস্থাপিকার সিরিয়ার নিয়ে এই রিপোর্ট করতে গিয়ে কেঁদে ফেলার এই ভিডিওতেই মরক্কোর সাথে পর্তুগালের হারের পর সুরঙ্গ পথে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ড্রেসিং রুমে ফেরার ভিডিওটি এডিট করে বসিয়ে প্রচার করা হয়েছে।
মূলত, চলতি কাতার বিশ্বকাপে গত রোববার কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছে রোনালদোর পর্তুগাল। আর সেই সাথেই শেষ হয়ে গেছে রোনালদোর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নও। হারের পর কান্নায় ভেঙে পড়া রোনালদোকে কাঁদতে কাঁদতে ড্রেসিং রুমে আসতে দেখার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মরক্কোর সাথে হারের পর রোনালদোর কান্নার ভাইরাল সেই ভিডিওটি-ই ৩ বছর আগে সিরিয়া নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে ওরিয়েন্ট টিভির উপস্থাপিকার কান্না করার ভিডিওতে এডিট করে বসিয়ে রোনালদোকে নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন উপস্থাপিকা শীর্ষক ভুয়া দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
সুতরাং, রোনালদোকে নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন উপস্থাপিকা শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি ভুয়া এবং দাবিটি মিথ্যা।