খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত দাবিতে নওগাঁর ভিন্ন ঘটনার ছবি প্রচার

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় স্কুলশিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জুম্ম ছাত্র জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, গুইমারার রামসু বাজারে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়ে এক নারী পড়ে আছে। রাতে লাশটি ফেলে রেখে গেছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ছবিটি খাগড়াছড়িতে কোনো ঘটনার নয়। বরং, গত ২৫ সেপ্টেম্বর নওগাঁয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার ছবিকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ‘সাংবাদিক মোঃ মমিন আলী’ নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, নওগাঁ জেলার মান্দায় উপজেলায় রাস্তার পাশে নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেদিন।

Screenshot Comparison by Rumor Scanner  

জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি পাখি বেগম (৩০) নামে এক নারীর। আগের স্বামী মাসুদ রানা তাকে তালাক দেওয়ার পর তিনি ঢাকায় গিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। সেখানে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে বিয়ে করেন। তবে দুই সপ্তাহ আগে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে হলুদঘর গ্রামের মোড়ে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাকে ঘুরতে দেখা যায়। এরপর সকালে তার লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে স্বামী তাইজুল ইসলাম ও তার পরিবার গা ঢাকা দিয়েছে।

অর্থাৎ, আলোচিত ছবিটি খাগড়াছড়িতে চলমান সংঘর্ষের ঘটনার নয়। 

সুতরাং, নওগাঁয় নারীর লাশ উদ্ধারের ভিন্ন ঘটনাকে খাগড়াছড়ির গুইমারার ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img