সম্প্রতি “রাতেই আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলো মহিউদ্দিন রনিকে আটকিয়ে দিল পুলিশ” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। ভিডিওগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, “রাতেই আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলো মহিউদ্দিন রনিকে আটকিয়ে দিল পুলিশ” শীর্ষক শিরোনামের সাথে সংযুক্ত ভিডিওটির কোনো সমঞ্জস্যতা নেই বরং ভিডিওর কোথাও আগুনের কথা উল্লেখ-ই নেই।
কী-ওয়ার্ড অনুসন্ধানের মাধ্যমে, DBC News এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গত ২২ জুলাই রেলে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আবারও কমলাপুর স্টেশনে রনি শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিও প্রতিবেদনটির ১ মিনিট ২ সেকেন্ড থেকে রনির বক্তব্যের সাথে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বক্ত্যব্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওতে রনি তার আন্দোলনের ব্যাপারে বলছিল। কিন্তু ভিডিওর কোথাও আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও, দৈনিক জনকন্ঠের ওয়েবসাইটে ২২ জুলাই “রনিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকতে বাধা, মূল ফটকে অবস্থান” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে ছয় দফা দাবিতে আন্দোল করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি তাকে। তার প্রবেশ ঠেকাতে রেলস্টেশনের বাইরের কলাপসিবল গেট আটকে রাখা হয়৷ তাই মহিউদ্দিন রনি ওই গেটের সামনেই অবস্থান নিয়েছেন।
মূলত, রেলে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কমলাপুর স্টেশনে রনি আন্দোলন কর্মসূচির ভিডিওর সাথে ‘ ‘রাতেই আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলো মহিউদ্দিন রনিকে আটকিয়ে দিল পুলিশ’ শীর্ষক বিভ্রান্তিকর শিরোনাম যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
তাছাড়া, রেলে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কমলাপুর স্টেশনে আন্দোলন কর্মসূচি হলেও, সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার এমন কোনো তথ্য দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় নি।
উল্লেখ্য, রনির কর্মসূচীর খবর আগে থেকেই জানতে পেয়ে স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার ও রেলওয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা। রনি স্টেশনে প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা কর্মীরা মূল ফটকে তাকে আটকে দেন। এ সময় ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা, হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে রনির বক্তব্য ছিল “আমরা মূলত শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছি। আমাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এতে আমার মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে মনে করি”।
সুতরাং, রেলে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কমলাপুর স্টেশনে রনি আন্দোলন কর্মসূচির ভিডিওটির সাথে সংযুক্ত “রাতেই আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলো মহিউদ্দিন রনিকে আটকিয়ে দিল পুলিশ শীর্ষক শিরোনামটি বিভ্রান্তিকর”।
তথ্যসূত্র
DBC News YouTube: রেলে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আবারও কমলাপুর স্টেশনে রনি
দৈনিক জনকন্ঠ: রনিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকতে বাধা, মূল ফটকে অবস্থান
প্রথম আলো: কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকতে বাধা, ফটকে অবস্থান মহিউদ্দিনের