সম্প্রতি দুর্বৃত্তরা পদ্মা সেতুর রেলিং খুলে নিয়ে গেছে দাবিতে প্রচারিত বিষয়টি সত্য নয়

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতির মধ্যে, দুর্বৃত্তরা পদ্মা সেতুর রেলিং খুলে নিয়ে গেছে দাবিতে দুটি ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

পদ্মা সেতুর রেলিং

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি পদ্মা সেতুর রেলিং খুলে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং বিভিন্ন সময়ে সেতুতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেলিংয়ের ছবি ব্যবহার করে এই দাবি ছড়ানো হয়েছে।

এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে দেশীয় প্রধান গণমাধ্যমগুলোর ওয়েবসাইটে খোঁজ নেওয়া হয়, তবে এমন কোনো ঘটনা সম্পর্কে কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। পদ্মা সেতুর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তা নিঃসন্দেহে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিত এবং গণমাধ্যমে প্রকাশ পেত, যা এ ক্ষেত্রে ঘটেনি।

উক্ত বিষয়ে জানার জন্য আমরা পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করি। তিনি আমাদের জানান, সম্প্রতি পদ্মা সেতুর রেলিং খুলে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে, বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় কিছু গাড়ি রেলিংয়ে আঘাত করায় তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রেলিংগুলো সরানো হয়েছে। রেলিংয়ের মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন ম্যাটেরিয়াল ইংল্যান্ড থেকে আনার প্রক্রিয়া চলছে এবং সেগুলো এসে পৌঁছানোর পর মেরামত করা হবে। 

অধিকতর যাচাইয়ের জন্য, আমরা গত জুন মাসে ফেসবুকে আপলোডকৃত পদ্মা সেতু পারাপারের একটি ভিডিও বিশ্লেষণ করি। ভিডিওতে ক্ষতিগ্রস্ত রেলিংয়ের দৃশ্য দেখা যায়, যা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর সাথে সংগতিপূর্ণ

Image Comparison: Rumor Scanner.

সুতরাং, পদ্মা সেতুর রেলিং খুলে নিয়ে গেছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত বিষয়টি বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner’s own analysis.
  • Md Amirul Haider Chowdhury, Additional Director, Padma Bridge Site Office.

আরও পড়ুন

spot_img