সম্প্রতি “কুলাউড়ায় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কুলাউড়ায় বাসে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় চাঁদাবাজি কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্নিসংযোগের দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, বাসের সিলিন্ডার লিকের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত হয়েছে রিউমর স্ক্যানার।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে ‘Kulaura News’ শীর্ষক নাম ও লোগোর উপস্হিতি দেখতে পাওয়া যায়। উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ‘Kulaura News – কুলাউড়া নিউজ’ এর ফেসবুক পেজে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ক্যাপশনে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং বিস্তারিত উল্লেখ না থাকায় রিউমর স্ক্যানার টিমের পক্ষ থেকে কুলাউড়া নিউজে যোগাযোগ করা হয়। প্রতুত্তরে তারা জানান, “প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, ব্যাটারি বা ওয়ারে ত্রুটির কারণে আগুনটি লেগেছে। চাঁদাবাজির দাবির মতো কোনো ঘটনার সত্যতা আমাদের জানা নেই।”
এছাড়া, ‘অনুলিপি কুলাউড়া’ নামক আরেকটি আঞ্চলিক পোর্টালের ফেসবুক পেজে আলোচিত ঘটনার বিষয়ে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির ক্যাপশনে উক্ত অগ্নিকাণ্ড বাসের গ্যাস লিকের কারণে হয়েছে বলে জানানো হয়।

পরবর্তীতে, আলোচিত এই অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার। তিনি বলেন, “আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ব্যাটারি থেকে আগুনের সূত্রপাত, এক্সিডেন্টাল ঘটনা। চাঁদাবাজি বা ইচ্ছেকৃতভাবে অগ্নিসংযোগের দাবি সঠিক নয়। এরকম কোনো অভিযোগও আমাদের কাছে আসেনি।”
অর্থাৎ, কুলাউড়ায় বাসে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনার সঙ্গে চাঁদাবাজি কিংবা ইচ্ছেকৃতভাবে অগ্নিসংযোগের দাবিটি ভিত্তিহীন।
সুতরাং, কুলাউড়ায় একটি বাসে সিলিন্ডার লিক হয়ে ঘটা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে’ শীর্ষক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।