ফুটবলার হামজাকে নিয়ে প্রচারিত মন্তব্যটি কাজী সালাউদ্দীনের নয়

সম্প্রতি “জাতীয় দল কোনো ফাজলামোর জায়গা না। হুট করেই পারফরম্যান্স ছাড়া যাকে তাকে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়না” শীর্ষক শিরোনামের একটি তথ্য বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দীনের নাম উদ্ধৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কাজী সালাউদ্দীন বাংলাদেশী বংশদ্ভূত ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব লেস্টারের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর ব্যাপারে এরকম কোনো মন্তব্য করেন নি বরং ফুটবল ভিত্তিক একটি ট্রল পেজ থেকে উক্ত বক্তব্যটি সর্বপ্রথম কাজী সালাউদ্দীনের নামে প্রচার করা হয়।

কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, ‘কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দীন ওরফে সভাপতি সালাউদ্দিন’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের ৭ অক্টোম্বর “জাতীয় দল কোনো ফাজলামোর জায়গা না। হুট করেই পারফরম্যান্স ছাড়া যাকে তাকে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়না।” শীর্ষক শিরোনামের একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত পেইজটি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা যায়, এটি ফুটবলের একটি ট্রল পেজ। বিভিন্ন সময় ফুটবল নিয়ে ট্রল পোস্ট করা হয়।

এছাড়াও, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ফেসবুক পেজ, গণমাধ্যমের সংবাদ অনুসন্ধান করে কোথাও উক্ত বক্তব্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য, হামজা চৌধুরী বাংলাদেশী বংশদ্ভূত একজন ব্রিটিশ ফুটবলার। ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব লেস্টার সিটিতে মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন এই ফুটবলার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে ফুটবল খেলার ইচ্ছা পোষণ করেন।

এমনকি হামজা চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করতে তার বর্তমান ক্লাব লেস্টারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়।

অর্থাৎ, হামজা চৌধুরীকে বাংলাদেশ দলে যুক্ত করতে বাফুফে আগ্রহী এবং ইতোমধ্যে চেষ্টা চলছে।

মূলত, বাংলাদেশী বংশদ্ভূত ব্রিটিশ ক্লাব লেস্টারের মিফফিল্ডার হামজা চৌধুরী বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামার ইচ্ছা পোষণ করেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বাফুফে থেকে হামজার ক্লাব লেস্টারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এমনকি বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ লেস্টারকে চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তবে উক্ত ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি ট্রল পেজ থেকে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দীনের নামে একটি ভুয়া মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে।

প্রসঙ্গত, সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ নারী দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও বাফুফে সভাপতির নাম উদ্ধৃত করে ভুয়া মন্তব্য প্রচারিত হয়। উক্ত ঘটনায় সেসময় ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

সুতরাং, জাতীয় দল কোনো ফাজলামোর জায়গা না। হুট করেই পারফরম্যান্স ছাড়া যাকে তাকে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়না শীর্ষক বক্তব্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img