সম্প্রতি, ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলমান হামলা ও গণহত্যার মধ্যেই সামজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।
দাবি করা হচ্ছে, আমেরিকান মন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতে সম্মতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এক ফিলিস্তিনি মুসলিম সাংবাদিক সিংহের মতো লাফিয়ে এসে তাকে আক্রান্ত করেন।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
থ্রেডে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
উক্ত দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আমেরিকান মন্ত্রী কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের হত্যার সম্মতি দেওয়ায় তাকে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকের আক্রমণের কোনো ঘটনা নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসের একটি আদালতে বিচারক মেরি কে হোলথাসের ওপর ডিওব্রা রেডেন নামের এক আসামীর হামলার দৃশ্য।
এই বিষয়ে অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি ‘Las Vegas judge attacked by defendant during sentencing’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসের একটি আদালতে বিচারক মেরি কে হোলথাস একটি ফেলোনি ব্যাটারি মামলার আসামির দ্বারা আক্রান্ত হন।
এই বিষয়ে সিএনএন এবং দ্য গার্ডিয়ান এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি লাস ভেগাসের একটি আদালতে ডিওব্রা রেডেন নামের এক আসামী তার দীর্ঘ অপরাধের ইতিহাস বিবেচনায় বিচারক মেরি কে হোলথাস কর্তৃক প্রবেশনের আবেদন নাকচ হওয়ার পরপরই তার ওপর হামলা করে।
অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে ভিডিওর ঘটনাটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত সম্পর্কিত নয়। ভিডিওটিতে আক্রমণের শিকার নেভাদার একটি আদালতের বিচারক মেরি কে হোলথাস এবং তার উপর হামলাকারী আসামী ডেওব্রা রেডেন।
সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচারকের ওপর আসামীর হামলার ভিডিওকে আমেরিকান মন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের হত্যার সম্মতি দেওয়ায় ফিলিস্তিনি সাংবাদিক তাকে আক্রমণ করছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।