বউকে চিকিৎসা করাতে নিজের কিডনি বিক্রির দাবিটি সঠিক নয়

সম্প্রতি, সময় টিভি’র লোগো ‍সম্বলিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট ও ভিডিওতে ভিন্ন ভিন্ন মিউজিক সংযুক্ত করে ক্যাপশনে ‘বউকে চিকিৎসা করাতে নিজর কিডনি বিক্রি করে, আর বউ অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে নারী কিডনি তেও আটকায় না’ শীর্ষক শিরোনাম উল্লেখপূর্বক একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

কিডনি বিক্রি

এই দাবিতে টিকটকে প্রচারিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)

একই দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)

একই দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত কিছু  ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বউকে চিকিৎসা করাতে নিজের কিডনি বিক্রি করার কোনো তথ্য সময় টিভির আলোচিত প্রতিবেদনে দেওয়া হয়নি  বরং, সময় টিভির ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সুমিত হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি সুজন রায় নামে আরেক ব্যক্তিকে নিজের কিডনি দিয়েছেন।  

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই ‘কিডনি বিক্রি; বিনিময়ে বিদেশ যাত্রার প্রলোভন!’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও পাওয়া যায়। এই ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবির ভিডিওটির মিল পরিলক্ষিত হয়।

Image comparison: Rumor Scanner

ভিডিও থেকে জানা যায়, গ্রীস প্রবাসী কিডনি গ্রহীতা সুজন রায় বিদেশে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সুমিত হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির কিডনি নিয়েছেন। 

সময় টিভি’র এই প্রতিবেদনে বউকে চিকিৎসা করাতে নিজের কিডনি বিক্রি করা হয়েছে শীর্ষক কোনো তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

একই বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে মূলধারার আরেক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল২৪। ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই প্রকাশিত এই ‘প্রতিবেদনেও’ একই তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও, এটিএন নিউজ, একাত্তর টিভির এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোথাও বউকে চিকিৎসা করাতে নিজের কিডনি বিক্রি করা হয়েছে শীর্ষক তথ্য ছিল না। 

কি-ওয়ার্ড সার্চ করে বউকে চিকিৎসা করাতে নিজের কিডনি বিক্রি শীর্ষক কোনো তথ্য মূলধারার অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি।

মূলত, সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই ‘কিডনি বিক্রি; বিনিময়ে বিদেশ যাত্রার প্রলোভন!’ শীর্ষক শিরোনামে এবং একই বিষয়ে ২০২৩ সালের ২১ জুলাই ‘স্ত্রীকে না জানিয়ে কিডনি বিক্রি স্বামীর!’ দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদন দুটিতে কিডনি গ্রহীতার ছেলে এবং কিডনিদাতার সাক্ষাৎকারে একই ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়। এই ভিডিও প্রতিবেদন থেকে স্ক্রিনশট ও ভিডিও ক্লিপ নিয়ে ইন্টারনেটে ‘বউকে চিকিৎসা করাতে নিজের কিডনি বিক্রি’ দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওতে এমন কোনো তথ্যই দেওয়া হয়নি। কিডনি দাতা এবং গ্রহীতা দুজনই পুরুষ। এখানে কারো স্ত্রী যুক্ত ছিল না। 

সুতরাং, বউকে চিকিৎসা করাতে নিজের কিডনি বিক্রি শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

RS Team
Rumor Scanner Fact-Check Team
- Advertisment -spot_img
spot_img
spot_img