গাজায় চলমান ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার নৌ উদ্যোগ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। পরবর্তীতে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া, ইতালির সিসিলি দ্বীপ ও গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, উক্ত নৌবহরের ভিডিও দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

দীপ্ত টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক এস এম আকাশের শেয়ার করা এমন ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফেসবুকে প্রচারিত অন্যান্য পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত এমন ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সুমুদ ফ্লোটিলার ভিডিও দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আসল নয়। প্রকৃতপক্ষে, আলোচিত ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে।
ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার এমন কোনো ভিডিওর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ভিডিওটি সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করলে এতে কিছু এআই জনিত অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। ভিডিওটিতে জাহাজগুলোতে অস্বাভাবিক সংখ্যক আরহী দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও জাহাজগুলোকে অভূতভাবে সারিবদ্ধ হয়ে চলতে দেখা যায়। যার কোনোটিই বাস্তব নৌবহরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। পাশাপাশি ভিডিওটিতে এআই সৃষ্ট ভিডিওর মত অস্পষ্টতাও লক্ষ্য করা যায়।
পরবর্তীতে আলোচিত এই ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় নির্মিত কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এআই কনটেন্ট শনাক্তকারী প্ল্যাটফর্ম Deepfake-O-Meter এ ভিডিওটি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৭৫ শতাংশ।

সুতরাং, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের ভিডিও দাবিতে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Deepfake-O-Meter
- Rumor Scanner’s Analysis