সম্প্রতি, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার আবায়পুর ইউনিয়নের জহুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সবুজ নামের এক ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন সম্বলিত একটি তথ্য ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায় মোঃ সবুজ নামে প্রচারিত ছবিগুলো বাংলাদেশের কোন শিশুর নয় বরং ছবিগুলো নাঈম নামের ভারতের এক শিশুর।
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে “Ya Allah! Only treatment worth 60 Lakhs can save my son from cancer. Help!” শিরোনামে ভারতের গণ-অর্থায়ন প্ল্যাটফর্ম ‘Ketto’ এর ওয়েবসাইটের একটি ফান্ডরাইজিং পোস্টে ছবিগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
এছাড়াও, Ketto এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এবং টুইটার একাউন্টে শিশুটির জন্য ফান্ডরাইজিং নিয়ে গত অক্টোবর মাসে প্রকাশিত পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
My 2-yo son is battling cancer. Like a slow poison, it is killing him a little more every day. My husband is a poor coolie. From where can we arrange for lakhs of rupees for our son’s treatment? Allah, I can’t lose my only child! Please help.
To Support: https://t.co/gEFclqlRQW pic.twitter.com/RzctB2OOpY
— Ketto (@ketto) October 14, 2021
মূলত, ছবির শিশুটির নাম নাঈম। তার বাবার নাম সুলাইমান এবং তারা ভারতের নাগরিক। নাঈম মায়লোমোনোসাইটিক লিউকেমিয়া নামক এক জটিল রোগে আক্রান্ত যা এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সার।

এছাড়াও, উক্ত ছবিগুলো ব্যবহার করে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিন্ন ভিন্ন বিকাশ নাম্বার ব্যবহার করে বিগত কিছু দিন যাবৎ আর্থিক সাহায্যের আবেদন নামে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মানবিক সাহায্যের জন্য আবেদনকৃত ফেসবুক পোস্টগুলোয় উল্লেখিত বিকাশ নম্বরে রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ওই নাম্বারগুলোতে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে মোঃ সবুজ নামে বাস্তবিকভাবে বাংলাদেশের কোনো শিশু রোগাক্রান্ত কিনা কিংবা মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা ফ্যাক্টওয়াচ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, রিউমর স্ক্যানার টিম পূর্বেও ‘আয়েশা আক্তার আলভিয়া‘, ‘জুরাইরিয়া বিনতে হামজা‘ এবং “জসীম আলী” নাম ব্যবহার করে প্রতারণার উদ্দেশ্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে করা পোস্টগুলোকে শনাক্ত করে তিনটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
অর্থাৎ, আর্থিক সহায়তার নামে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভারতীয় শিশুর ছবি সম্বলিত পোস্ট বাংলাদেশের শিশু দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]
- Claim Review: শৈলকূপা থানার আবায়পুর ইউনিয়নের জহুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সবুজ
- Claimed By: Facebook Posts
- Fact Check: False
[/su_box]
তথ্যসূত্র
- Ketto Website: https://www.ketto.org/fundraiser/savenaeem
- Ketto FB: https://www.twitter.com/ketto/status/1448642975660056589
- ketto Twitter: https://www.facebook.com/212515512134895/posts/4422284637824607/