সম্প্রতি “থানায় হামলা ৪ পুলিশ নিহত,ক্ষেপেছে জনতা রক্ষা নাই প্রধানমন্ত্রী!” শীর্ষক শিরোনামের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এরকম পোস্ট দেখুন এখানে।
পোস্টটির আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের কোনো থানায় ৪ পুলিশ নিহত হয় নি বরং প্রচারিত ভিডিওর ক্যাপশন ও থাম্বলাইনে দেশের নাম উল্লেখ ব্যতীত চটকদার তথ্য প্রচারের ফলেই উক্ত বিষয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।
গুজবের সূত্রপাত
ফেসবুক মনিটরিং টুল ব্যবহার করে দেখা যায়, Shofiq Bhai Gaming নামক ফেসবুক পেজে গত ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৬ টায় উক্ত দাবিতে প্রথম ও একমাত্র পোস্ট করা হয়।
পরবর্তীতে, উক্ত ভিডিওর কমেন্টবক্স পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশের কোনো থানায় হামলা হয়ে ৪ পুলিশ নিহত হওয়া নিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
ভিডিওতে যা আছে
ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটি কয়েকটি প্রতিবেদন নিয়ে একটি নিউজ বুলেটিনের ভিডিও। ভিডিওর ৭ মিনিটে পাকিস্তানের একটি থানায় হামলায় ৪ পুলিশ নিহতের সংবাদ প্রচার করা হয়। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনের থানায় হামলায় পুলিশ নিহতের ঘটনায় সংবাদ প্রচারিত হলেও ক্যাপশন ও থাম্বনেইলে দেশের নাম উল্লেখ করা হয় নি।
ঘটনার অধিক সত্যতা যাচাইয়ে মূলধারার গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশের কোনো থানায় হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। তবে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে গত ১৮ ডিসেম্বর “পাকিস্তানে থানায় জঙ্গি হামলা, চার পুলিশ সদস্য নিহত” শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,
“পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের লাক্কি মারওয়াত এলাকার বুরগি পুলিশ স্টেশনে (থানা) জঙ্গিদের হামলায় চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। গতকাল শনিবার রাতে এ হামলা হয়। স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন এসব তথ্য জানিয়েছে।”
যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, উক্ত ভিডিওর ক্যাপশন ও থাম্বনেইলে পুলিশ নিহতের ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং পাকিস্তানের।
মূলত, গত ১৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন অঞ্চলে জঙ্গিদের হামলায় চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে Shofiq Bhai Gaming নামক পেজে সংবাদ প্রচারিত হয়। তবে উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনের ক্যাপশন এবং থাম্বনেইলে দেশের নাম উল্লেখ না করে চার পুলিশ নিহতের সংবাদ প্রচারিত হয়। যা বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে পরবর্তীতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
সুতরাং, “থানায় হামলা ৪ পুলিশ নিহত,ক্ষেপেছে জনতা রক্ষা নাই প্রধানমন্ত্রী!” শীর্ষক শিরোনামের ভিডিওটি প্রচারিত হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- রিউমর স্ক্যানার টিমের নিজস্ব অনুসন্ধান
- প্রথম আলো : পাকিস্তানে থানায় জঙ্গি হামলা, চার পুলিশ সদস্য নিহত