সম্প্রতি ‘ফরিদপুরে ভাংগা পৌরসভার আওয়ামীলীগ নেতাদের ধরতে এসে, এলাকা বাসির ধাওয়ায় পালিয়ে গেলো পুলিশ।’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)৷
ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং ভিডিওটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলারও নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের সমর্থনে নোয়াখালীর সেনবাগে মিছিলরত বিএনপি সমর্থকদের ধাওয়ায় পুলিশের পালানোর ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে৷
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের মাধ্যমে কামরু জ্জামান নামক ফেসবুক প্রোফাইলে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

ভিডিওটির ক্যাপশনে ‘আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার নোয়াখালীর সেনবাগে অবরোধের সমর্থনে মিছিলরত বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পালালো পুলিশ….’ সূচক তথ্য উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে, BNP Official Vlogs নামক ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ‘নোয়াখালী বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পালালো পুলিশ’ শিরোনামে আলোচিত ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
গণমাধ্যম (১, ২) সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের সমর্থনে মোড়ে মোড়ে ঝটিকা মিছিল করেছে নোয়াখালী বিএনপি।
অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি ২০২৩ সালের নোয়াখালীর ভিন্ন একটি ঘটনার।
সুতরাং, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের ধরতে এসে এলাকাবাসীর ধাওয়ায় পুলিশের পালিয়ে যাওয়ার এই দাবিটি মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- কামরু জ্জামান – Facebook Post
- BNP Official Vlogs – নোয়াখালী বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পালালো পুলিশ