সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করা নাহিদ ইসলাম জনতা, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবির এক্স পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জনতা কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সাম্প্রতিক সময়ে মারধরের শিকার হননি নাহিদ ইসলাম বরং, ভিন্ন ঘটনার ভিডিও (যেখানে নাহিদ উপস্থিতই ছিলেন না) দিয়ে ভুয়া এই দাবি প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূল ধারার গণমাধ্যম যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারির একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, নতুন ছাত্রসংগঠনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করায় বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। তবে ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে নাহিদ ইসলামের উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি।
বিবিসি বাংলার এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সেদিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশের জন্য সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বিক্ষোভ ও হাতাহাতির খবর এসেছে।
এ সংক্রান্ত অন্যান্য গণমাধ্যমের সংবাদগুলো বিশ্লেষণ করেও উক্ত ঘটনার সময় নাহিদের উপস্থিতির কোনো তথ্য মেলেনি।
রিউমর স্ক্যানার পরবর্তীতে সেখানে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিকের সাথে কথা বলেছে। আজকের পত্রিকার সাংবাদিক হাসান শিকদার জানান, সেখানে নাহিদ ইসলমা উপস্থিত ছিলেন না।
তাছাড়া, নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি জনতা, পুলিশ বা সেনাবাহিনীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন শীর্ষক দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, নাহিদ ইসলাম জনতা, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Jamuna Television: YouTube Video