আলেমদের ভালোবাসার কারণে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে শীর্ষক মন্তব্য করেননি জামায়াতের আমীর

সম্প্রতি, ‘ড. ইউনূস আলেমদের ভালোবাসেন তাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।: জামায়াত আমীর’ শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম আরটিভি’র ফটোকার্ডের ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘ড. ইউনূস আলেমদের ভালোবাসেন তাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।: জামায়াত আমীর’ শীর্ষক দাবিতে আরটিভি বা অন্য কোনো গণমাধ্যম কোনো প্রতিবেদন বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি এবং জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানও এমন কোনো মন্তব্য করেননি বরং, আরটিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ফটোকার্ডের শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় পরিবর্তন করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটি আরটিভির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডের ডিজাইনের আদলে তৈরি করা হয়েছে। আলোচিত ফটোকার্ডটিতে প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ উল্লেখ রয়েছে।

আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে আরটিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে গত ১৬ সেপ্টেম্বর “৮৫০ বছর আগে লক্ষ্মণ সেন পালিয়েছিল, আপনিও পালালেন: জামায়াত আমির” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত ফটোকার্ডের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত গ্রাফিক্যাল ডিজাইন ও ছবির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এই ফটোকার্ডটির সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির তূলনামূলক বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ফটোকার্ড দুটিতে ব্যবহৃত ছবির মিল থাকলেও আলোচিত ফটোকার্ডের শিরোনাম ও শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে আরটিভির ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের মিল নেই। 

Photocard Comparison: Rumor Scanner 

আলোচিত ফটোকার্ডটির শিরোনামে “৮৫০ বছর আগে লক্ষ্মণ সেন পালিয়েছিল, আপনিও পালালেন: জামায়াত আমির” বাক্যাংশের পরিবর্তে “ড. ইউনূস আলেমদের ভালোবাসেন তাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।: জামায়াত আমীর” বাক্যাংশটি যুক্ত করা হয়েছে। এটি থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, আরটিভির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডটিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

একই দিনে অর্থাৎ গত ১৬ সেপ্টেম্বর আরটিভির ওয়েবসাইটে “৮৫০ বছর আগে লক্ষ্মণ সেন পালিয়েছিল, আপনিও পালালেন: জামায়াত আমির” শিরোনামে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রতিবেদনের খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদের কোথাও প্রচারিত দাবি সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, অনুসন্ধানে অন্য কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে আলোচিত দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত গণবিবাহ আয়োজনকে জড়িয়ে ‘ড. ইউনূস আলেমদের ভালোবাসেন তাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।: জামায়াত আমীর’ শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা এবং উক্ত দাবিতে আরটিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা সম্পাদিত।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img