শনিবার, মে 24, 2025

জামায়াতের অমুসলিম শাখায় নাম না লেখালে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত ভুয়া দাবি

জামায়াতের অমুসলিম শাখায় নাম না লেখালে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে – হবিগঞ্জের স্কুল শিক্ষক পরেশ দত্ত” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশন এবং জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ডিজাইন সম্বলিত দুইটি ফটোকার্ড সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

যমুনা টেলিভিশনের ফটোকার্ড দাবিতে প্রচারিত কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

প্রথম আলোর ফটোকার্ড দাবিতে প্রচারিত ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, “জামায়াতের অমুসলিম শাখায় নাম না লেখালে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে – হবিগঞ্জের স্কুল শিক্ষক পরেশ দত্ত” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে যমুনা টেলিভিশন কিংবা দৈনিক প্রথম আলো কেউই কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে যমুনা টেলিভিশন এবং দৈনিক প্রথম আলোর ডিজাইন সম্বলিত আলোচিত ভুয়া ফটোকার্ড দুটি তৈরি করা হয়েছে।

যমুনা টেলিভিশনের ফটোকার্ড যাচাই:

অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি প্রকাশের কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। পরবর্তীতে অধিকতর অনুসন্ধানে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটইউটিউব চ্যানেলেও এমন কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া, আলোচিত ফটোকার্ডটির সাথে যমুনা টেলিভিশন কর্তৃক প্রকাশিত ফটোকার্ডের শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের পার্থক্য রয়েছে। পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি।

Photocard Comparison: Rumor Scanner

এ বিষয়ে অধিকতর তথ্য নিশ্চিতের জন্য যমুনা টিভির নিউ মিডিয়া এডিটর রুবেল মাহমুদদের সাথে যোগাযোগ করলে, যমুনা টিভি এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি বলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন।

দৈনিক প্রথম আলোর ফটোকার্ড যাচাই:

আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ গত ৩ অক্টোবর উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে ৩ অক্টোবর তারিখে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রথম আলোর ওয়েবসাইটইউটিউব চ্যানেলেও এমন কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, আলোচিত ফটোকার্ডটির সাথে কালবেলা কর্তৃক প্রকাশিত ফটোকার্ডের পার্থক্যও রয়েছে। পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

Photocard Comparison: Rumor Scanner

এ বিষয়ে অধিকতর তথ্য নিশ্চিতের জন্য রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে প্রথম আলোর অনলাইন হেড শওকত হোসাইন মাসুমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান প্রথম আলো এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। এছাড়া এই ফটোকার্ডটিকে তিনি ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করেন।

সুতরাং, “জামায়াতের অমুসলিম শাখায় নাম না লেখালে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে – হবিগঞ্জের স্কুল শিক্ষক পরেশ দত্ত” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে যমুনা টেলিভিশন এবং প্রথম আলো ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত এই ফটোকার্ডগুলো ভুয়া ও বানোয়াট। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img