সম্প্রতি, “প্রকাশ্যে নেওয়া হচ্ছে অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা!!ফিটনেসবিহীন গাড়ি এলেই ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফিটনেসবিহীন সিএনজি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়ার ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং এটি চার বছর পুরোনো ঘটনার ভিডিও।
মূলত, একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানোর পর ২০১৮ সালের ০১ এপ্রিল ১৫ বছরের অধিক পুরোনো মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রায় সাড়ে আট হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা তুলে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করার কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। ঢাকায় সাড়ে পাঁচ হাজার এবং চট্টগ্রামে ২ হাজার আটশত সিএনজি ভাঙা হয় সে সময়। ভেঙে ফেলা প্রতিটি সিএনজির বিপরীতে দেওয়া হয় নতুন রেজিস্ট্রেশন।
অর্থাৎ, মেয়াদ উত্তীর্ণ সিএনজি অটো রিক্সা ধ্বংস করার পুরোনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ের ভিডিও দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৩ মে চট্টগ্রামের আরো এক হাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ সিএনজি ধ্বংস করে দেয় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুলাই মাসে লকডাউনে সিএনজি অটোরিক্সা গাড়ি বের করায় সেগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে দাবিতে একই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে সে সময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো রিউমর স্ক্যানার।