কোটা সংস্কার আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ছবি প্রচার

সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন পরবর্তী সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় গত ২৮ জুলাই থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার লোকেশন দেখিয়ে একটি ছবি প্রচার করে উক্ত সংঘর্ষে একজন নারী শিক্ষার্থী মৃত্যুর ছবি বলে দাবি করা হয়।

কোটা সংস্কার

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত নারী শিক্ষার্থীর মৃত্যু কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংঘর্ষে হয়নি বরং এটি গত এপ্রিল মাসে নরসিংদী শহরের বাসিন্দা সাদিয়া আক্তার নামক নরসিংদী সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থীর ছবি।

ছবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চ করে Surma.TV-সুরমা টিভি নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ০৪ এপ্রিলে প্রকাশিত একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

Image Comparison: Rumor Scanner

উক্ত ছবির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদিয়া আক্তার (১৯) নামক নরসিংদী সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তিনি নরসিংদী শহরের শাপলা চত্বর এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে।

ঘটনার দিন বিকেলে স্থানীয়রা সাদিয়াকে নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে এক পুলিশ সদস্য উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর এ গত ৪ এপ্রিল “নরসিংদীতে কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

মূলত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার লোকেশন দেখিয়ে একটি ছবি প্রচার করে কোটা সংস্কার আন্দোলন পরবর্তী সংঘর্ষে একজন নারী শিক্ষার্থী মৃত্যুর ছবি বলে একটি ছবি প্রচার করা হয়। কিন্তু, রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত ছবিটি কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি গত এপ্রিলে নরসিংদী শহরের বাসিন্দা সাদিয়া আক্তার নামক নরসিংদী সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থীর ছবি, যার সাথে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কোন যোগসূত্র নেই।

সুতরাং, কোটা সংস্কার আন্দোলনে এক নারী শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দাবিতে ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img