বাংলাদেশে নয়, সড়ক দুর্ঘটনার এই ভিডিও ভারতের

সম্প্রতি ‘স্বাধীন দেশের অবস্থা বেপরোয়া গতি – মানুষের ক্ষতি..’ একটি ভিডিও ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রচার করা হয়েছে, যেখানে একটি বেপরোয়া গতির গাড়ি এসে রাস্তায় চলাচলরত স্কুলের পোশাক পরিহিত এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়, উক্ত শিক্ষার্থী ছিটকে গিয়ে ফুটপাতের কাছে ড্রেনের কাছে ছিটকে পড়ে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।  

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনার এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং, ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের দেহরাদুন জেলার একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে Ankit Sharma নামক এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২৪ এপ্রিল প্রকাশিত পোস্টে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়, এটি উত্তরাখন্ডের দেহরাদুনের ঘটনা, যেখানে একটি আল্টো গাড়িকে স্কুল ফেরত এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে চাপা দিতে দেখা যায়। একই গাড়ির দুর্ঘটনায় ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং পুলিশ মামলা গ্রহণ করেছে।

উক্ত তথ্যাবলীর সূত্রে একই বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম The Free Press Journal এর ওয়েবসাইটে গত ২৪ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওটির দৃশ্যের মিল রয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল উত্তরাখণ্ডের দেহরাদুন জেলার বিকাশনগর-সেলাকি এলাকায় দেহরাদুন-পাওন্তা জাতীয় মহাসড়ক থেকে নিগম রোডের দিকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়ি বাড়ি ফিরতে থাকা স্কুল শিক্ষার্থীদের পিষে দেয়। এই দুর্ঘটনায় ৭ জন স্কুল শিক্ষার্থী, এক পথচারী মেয়ে এবং ওই গাড়ির চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে এবং সকলেই নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গাড়িটির গতি এত বেশি ছিল যে এটি কেবল বাচ্চাদেরই পিষে দেয়নি, বরং রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা আরও তিনটি গাড়িরও ক্ষতি করে। এ ঘটনায় পুলিশ গাড়ির চালককে আটক করে মামলার তদন্ত শুরু করেছে।

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওর সড়ক দুর্ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটেনি।

সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার দৃশ্য দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img