সম্প্রতি “ধর্ষণ শেষে কোরআন শরীফ হাতে রেখে দোজখের ভয় দেখাতেন মাওলানা বেলালী” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নেত্রকোণা মহিলা মাদ্রাসায় ধর্ষণের ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং এটি ২০১৯ সালের একটি ঘটনা।
কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, দেশীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম “প্রথম আলো’র” ওয়েবসাইটে ৭ জুলাই ২০১৯ তারিখে “আট শিশুকে ধর্ষনের কথা স্বীকার মাদ্রাসা অধ্যক্ষের” শীর্ষক শিরোনামে আলোচিত ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে উক্ত ঘটনা নিয়ে সে সময়ে দেশীয় মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে (আমাদের সময়, বিডিনিউজ ২৪, ঢাকা ট্রিবিউন, বাংলা ট্রিবিউন) প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
মূলত, ২০১৯ সালের ৬ জুলাই নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌর শহরে এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত ঘটনাটিকে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো তারিখ উল্লেখ ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থাৎ, তিন বছরের বেশি সময়ের পুরোনো একটি সংবাদকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- প্রথম আলো – “আট শিশুকে ধর্ষনের কথা স্বীকার মাদ্রাসা অধ্যক্ষের”
- আমাদের সময় – ধর্ষণের পর কোরআন ছুঁয়ে ছাত্রীদের শপথ করাতেন অধ্যক্ষ!
- বিডিনিউজ ২৪ – ৮ ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন নেত্রকোণার মাদ্রাসা শিক্ষক: পুলিশ
- বাংলা ট্রবিউন – ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গণপিটুনি
- ঢাকা ট্রিবিউন – ধর্ষণের পর কোরআন শরীফ ছুঁইয়ে শপথ করাতেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ